জেনে নিন জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য

Mohammad Raihan Uddin
  • আপডেট সময় : 03:15:53 pm, Sunday, 27 October 2024 50 বার পড়া হয়েছে

জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য

সমাজবিজ্ঞান বইয়ে আমরা জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনেছি। তবুও আজকে আমি এই দুটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ অনেকের মনে এ নিয়ে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। তাই নিচের লেখাটি মনোযোগ সরকারে পড়ুন এবং দেশের নাগরিক হওয়ার বিষয়ে খুটিনাটি জেনে নিন।

জাতীয়তা কাকে বলে?

যখন কোন ব্যক্তি একটি দেশের জন্ম গ্রহণ করে তাকে সেই দেশের জন্মসূত্রে নাগরিক বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা পূর্বপুরুষ থেকেই আমরা বাংলাদেশে বসবাস করে আসছি এবং এখানেই আমাদের জন্ম। তাই আমাদের জাতীয়তা অবশ্যই বাংলাদেশী। বলতে পারেন বাবা-মার থেকে এই জাতীয়তা অর্জিত হয়।

এটি আমরা কখনই পরিবর্তন করতে পারবো না। কারণ আপনি এই দেশেই জন্মগ্রহণ করেছেন। এজন্যই খেয়াল করে দেখবেন কোন ব্যক্তির জন্য সম্মানজনক জাতীয়তা প্রদান করা হয় না। এমনকি এটি সম্ভব না।

নাগরিকত্ব কাকে বলে?

নাগরিকত্ব হচ্ছে এমন একটি জিনিস যেটির মাধ্যমে কোন দেশের অধিবাসী বা নাগরিক হওয়াকে বোঝায়। আমরা বাংলাদেশে বসবাস করছি তারমানে আমরা বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু আমেরিকা থেকে যদি একটি লোক এখানে এসে বসবাস শুরু করে তাকে নাগরিক বলা যাবে না। কারণ তার জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি আমেরিকাতে রেজিস্ট্রেশন করা এবং সেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন।

তবে তিনি চাইলে বাংলাদেশের সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।। সরকার যদি থাকে সেই অনুমতি প্রদান করে তাহলে তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন।

উপরের তো সংজ্ঞা দুটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যেও পার্থক্য সম্পর্কে ইতিমধ্যে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আপনার আশেপাশে হয়তো দেখেছেন বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তারপর সরকার সেটি অনুমোদন করলে তাই ভাবে বসবাস করতে পারে।

জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য

১। জাতীয়তা হচ্ছে এমন একটি শব্দ যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তির জন্ম গ্রহণ কিংবা বংশ-পরম্পরা বোঝায়। আর নাগরিকত্বের মানে হচ্ছে কোন দেশের সদস্য হওয়াকে উল্লেখ করে।

২। নাগরিকত্ব পরিবর্তন করা যায়। কারণ এটি সরকার করতে প্রদান করা হয়ে থাকে। এমনকি কোন দেশ চাইলে যেকোন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারেন। কিন্তু জাতীয়তা পরিবর্তনশীল নয়। আপনি চাইলেই জন্মগ্রহণের স্থান বাংলাদেশ পরিবর্তন করতে পারবেন না।

৩। জন্মসূত্রে জাতীয়তা ও নাগরিকতা উভয়ই পাওয়া যায়। কিন্তু জাতীয়তা সব সময় একটি দেশকে কেন্দ্র করে হলেও নাগরিকত্ব বিভিন্ন দেশের হতে পারে।

তাই জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য গুলির মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয়তাবাদ পরিবর্তন করা যায় না।

৪। জাতীয়তা শব্দটির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা ইত্যাদি কে নির্দেশ করেন। কিন্তু নাগরিক শব্দটির মাধ্যমে এসকল কোন কিছুই নির্দেশ করে না।

উপসংহার

শুনতে এক রকম মনে হলেও এই দুটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।। তাইতো জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা উচিত। কারণ দুটি শব্দই আলাদা বিশাল অর্থ বহন করে।

শীতের দিনে কুয়াশা পড়ে কেন এবং কীভাবে এটি তৈরি হয়? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mohammad Raihan Uddin

Only Share Real News and Tip Tricks Blog

জেনে নিন জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য

আপডেট সময় : 03:15:53 pm, Sunday, 27 October 2024

সমাজবিজ্ঞান বইয়ে আমরা জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে জেনেছি। তবুও আজকে আমি এই দুটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ অনেকের মনে এ নিয়ে রয়েছে নানা রকম প্রশ্ন। তাই নিচের লেখাটি মনোযোগ সরকারে পড়ুন এবং দেশের নাগরিক হওয়ার বিষয়ে খুটিনাটি জেনে নিন।

জাতীয়তা কাকে বলে?

যখন কোন ব্যক্তি একটি দেশের জন্ম গ্রহণ করে তাকে সেই দেশের জন্মসূত্রে নাগরিক বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা পূর্বপুরুষ থেকেই আমরা বাংলাদেশে বসবাস করে আসছি এবং এখানেই আমাদের জন্ম। তাই আমাদের জাতীয়তা অবশ্যই বাংলাদেশী। বলতে পারেন বাবা-মার থেকে এই জাতীয়তা অর্জিত হয়।

এটি আমরা কখনই পরিবর্তন করতে পারবো না। কারণ আপনি এই দেশেই জন্মগ্রহণ করেছেন। এজন্যই খেয়াল করে দেখবেন কোন ব্যক্তির জন্য সম্মানজনক জাতীয়তা প্রদান করা হয় না। এমনকি এটি সম্ভব না।

নাগরিকত্ব কাকে বলে?

নাগরিকত্ব হচ্ছে এমন একটি জিনিস যেটির মাধ্যমে কোন দেশের অধিবাসী বা নাগরিক হওয়াকে বোঝায়। আমরা বাংলাদেশে বসবাস করছি তারমানে আমরা বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু আমেরিকা থেকে যদি একটি লোক এখানে এসে বসবাস শুরু করে তাকে নাগরিক বলা যাবে না। কারণ তার জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র ইত্যাদি আমেরিকাতে রেজিস্ট্রেশন করা এবং সেখানে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন।

তবে তিনি চাইলে বাংলাদেশের সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।। সরকার যদি থাকে সেই অনুমতি প্রদান করে তাহলে তিনিও বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যাবেন।

উপরের তো সংজ্ঞা দুটি পড়ে আপনারা নিশ্চয়ই জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যেও পার্থক্য সম্পর্কে ইতিমধ্যে কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আপনার আশেপাশে হয়তো দেখেছেন বাংলাদেশ থেকে অনেক লোক কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তারপর সরকার সেটি অনুমোদন করলে তাই ভাবে বসবাস করতে পারে।

জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য

১। জাতীয়তা হচ্ছে এমন একটি শব্দ যার মাধ্যমে কোন ব্যক্তির জন্ম গ্রহণ কিংবা বংশ-পরম্পরা বোঝায়। আর নাগরিকত্বের মানে হচ্ছে কোন দেশের সদস্য হওয়াকে উল্লেখ করে।

২। নাগরিকত্ব পরিবর্তন করা যায়। কারণ এটি সরকার করতে প্রদান করা হয়ে থাকে। এমনকি কোন দেশ চাইলে যেকোন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারেন। কিন্তু জাতীয়তা পরিবর্তনশীল নয়। আপনি চাইলেই জন্মগ্রহণের স্থান বাংলাদেশ পরিবর্তন করতে পারবেন না।

৩। জন্মসূত্রে জাতীয়তা ও নাগরিকতা উভয়ই পাওয়া যায়। কিন্তু জাতীয়তা সব সময় একটি দেশকে কেন্দ্র করে হলেও নাগরিকত্ব বিভিন্ন দেশের হতে পারে।

তাই জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য গুলির মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জাতীয়তাবাদ পরিবর্তন করা যায় না।

৪। জাতীয়তা শব্দটির মাধ্যমে কোন ব্যক্তির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা ইত্যাদি কে নির্দেশ করেন। কিন্তু নাগরিক শব্দটির মাধ্যমে এসকল কোন কিছুই নির্দেশ করে না।

উপসংহার

শুনতে এক রকম মনে হলেও এই দুটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।। তাইতো জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা উচিত। কারণ দুটি শব্দই আলাদা বিশাল অর্থ বহন করে।

শীতের দিনে কুয়াশা পড়ে কেন এবং কীভাবে এটি তৈরি হয়? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।