সম্প্রতি চলছে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষা। যে সকল প্রার্থীরা প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তারাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অনেকেই এ সকল ধাপ গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আপনি যদি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষক হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের পুরো লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

নিবন্ধন পরীক্ষার আবেদন করা যায় বিভিন্ন পর্যায়ে। এরমধ্যে রয়েছে স্কুল, স্কুল ২, কলেজ এবং মাদ্রাসা। স্কুল পর্যায় বলতে এমপিও ভুক্ত এবং বেসরকারি হাই স্কুল গুলোকে বোঝানো হয়েছে।

আবার যারা এখনো অনার্স কিংবা সমমান ডিগ্রী সম্পন্ন করেননি কিন্তু অনার্সে অধ্যয়নরত আছেন, তারা স্কুল ২ পর্যায়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়োগ প্রদান করা হয়। এই পর্যায়ে আবেদন করার জন্য অবশ্যই অনার্স প্রথম বর্ষ হতে উত্তীর্ণ হতে হবে।

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করার ধাপ গুলো কি কি

আপনি চাইলে যোগ্যতা অনুযায়ী সবগুলো পর্যায়ের জন্যই আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার পরে একটি প্রিলিমিনারি বা বহুনির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।। এই বহু নির্বাচনে পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

আপনি যে ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া সম্পন্ন করেছেন অথবা যেই বিভাগের শিক্ষক হতে চান সেই বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। এনটিআরসিএ কর্তৃক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য এই লিখিত পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যত বেশি নম্বর পাবেন তত বেশি সম্ভাবনা থাকবে আপনার পছন্দের প্রতিষ্ঠান গুলোতে চাকুরী পাওয়ার।

তারপর প্রকাশিত হয় লিখিত পরীক্ষার ফলাফল। যারা এই ধাপে উত্তীর্ণ হয় তাদেরকে ডাকা হয় ভাইভা পরীক্ষার জন্য। সাধারণত ২০ নম্বরের ভাইভা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ক্ষেত্রে।

এর মধ্যে ১২ নম্বর প্রদান করা হয় সনদের ব্যক্তিতে। এই ১২ নম্বর প্রদান করা হয় এসএসসি, এইচএসসি এবং অনার্সের রেজাল্টের ভিত্তিতে। আপনি যদি SSC ও HS উভয় পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ-৪ কিংবা এর অধিক পেয়ে থাকেন তাহলে ৪ করে মোট ৮ নম্বর পাবেন। আবার অনার্স বা সমমান পরীক্ষায় যদি সিজিপি-৩ বা তার বেশি পেয়ে থাকেন তাহলে পাবেন আরো ৪ নম্বর। এভাবে তিন পরীক্ষার সনদের জন্য মোট পাবেন ১২ নম্বর।

এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বাকি ৮ নম্বরের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এটি হতে পারে সাধারণ জ্ঞান, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় কিংবা একাডেমিক সম্পর্কিত। প্রার্থীদের এই ধাপে পাশ করার জন্য কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অথবা ৮ নম্বর পেতে হয়।

শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা পরীক্ষায় সাধারণত ৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকেন। এদের মত একজন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া আরও ৩ জনের দায়িত্ব থাকে পরীক্ষার্থীদের সনদ গুলো যাচাই করার।

এবারের ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের সর্বমোট প্রার্থী অংশ নিয়েছেন ৮৩,৮৬৫ জন।

জাতীয়তা এবং নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য জানতে এখানে প্রবেশ করুন।