আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে স্মার্টফোন। অফিস কিংবা কাজের বিভিন্ন ডকুমেন্টসের পাশাপাশি মোবাইলে ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ফাইলও থাকে। তাইতো দরকার হয় বাড়তি নিরাপত্তার। কেউ যাতে হাতে নিয়ে সেগুলো দেখতে না পায় তার উপায় খুঁজে অনেকেই।

আপনি মোবাইলের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও কিংবা এ সকল ডকুমেন্টস কিভাবে লুকিয়ে রাখবেন সেই সম্পর্কে আমি আজকে আপনাদেরকে জানাবো। তাই মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পূরণ।

গুগল ফটোস (Google Photos)

এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন কিন্তু গুগল ফটোর সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ হয়তোবা খুব কমই আছে। আপনি যেই কোন ধরনের ছবি কিংবা ভিডিও এটাতে আলাদাভাবে রাখতে পারবেন। এমনকি কেউই দেখতে পারবে না।

এটির দুইটি উপায় রয়েছে। প্রথমে আপনাকে google photos মোবাইলে ইন্সটল করতে হবে। তবে বেশিরভাগ এন্ড্রয়েড ফোনেই এটি আগে থেকেই দেওয়া থাকে।

আপনি যে ছবি কিংবা ভিডিও গুলো লুকিয়ে রাখতে চান সেগুলো প্রথমে নির্বাচন করুন। তারপর ডান পাশের উপরে থাকা থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে সেগুলো আর্কাইভ করে দিন। এতে করে কেউ যখন এই গুগল ফটোস ওপেন করবে তখন আর টাইপ করা ছবি এবং ভিডিও গুলি সামনে আসবে না।

আপনি পরবর্তীতে যেকোনো সময় আর্কাইভ থেকে সেগুলো দেখতে পারবেন কিংবা সেখান থেকে মূল গ্যালারিতেও নিয়ে আসতে পারবেন। আপনি অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস এবং ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপেও এই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যক্তিগত ছবি কিংবা ভিডিও লুকিয়ে রাখার উপায় গুলোর মধ্যে এটি বেশি জনপ্রিয়। আর যদি আপনি আরো বেশি নিরাপত্তা চান তাহলে নিচে আরো উপায় বর্ণনা করা হলো।

গুগল ড্রাইভ (Google Drive)

আপনি নিশ্চয়ই ক্লাউড স্টোরেজের কথা শুনেছেন। এটি হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রোভাইড করা নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি স্টোরেজ। যেমন আপনার যদি একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে আপনি ১৫ গিগাবাইট ক্লাউড ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যক্তিগত ছবি গোপন রাখার জন্য আপনার গুগল ড্রাইভ সফটওয়্যারটি ইনস্টল করুন। তারপর সেখানে ১৫ জিবি পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ছবি ভিডিও ডকুমেন্টস ইত্যাদি রেখে তারপরে আনইন্সটল করে দিন। আবার যখন প্রয়োজন হবে, গুগল ড্রাইভ অ্যাপ পুনরায় ইন্সটল করলে ফাইল গুলো দেখতে পারবে।

আপনি চাইলে ল্যাপটপ, ডেক্সটপ কিংবা আইফোনে গুগল ড্রাইভের সুবিধা পেতে পারবেন। ব্যক্তিগত ছবি গোপন রাখার উপায় এটি অনেক বেশি নিরাপদ। অর্থাৎ আপনার ফোন কিংবা ল্যাপটপ হাতে নিলেও কেউ এগুলো দেখতে পারবে না। এমনকি আপনার মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ হারিয়ে গেলে নষ্ট হয়ে গেলেও আপনার ছবির কোন ক্ষতি হবে না। আপনার কাছে সেই জিমেইল একাউন্টের আইডি, পাসওয়ার্ড কিংবা এক্সেস থাকলে আপনি যেকোন স্থান হতেই সেগুলো পুনরায় উদ্ধার করতে পারবেন।

ব্যক্তিগত ছবি লুকিয়ে রাখার অন্যান্য উপায়

এছাড়া ও বর্তমানের স্মার্টফোন গুলিতে গ্যালারি লকার সিস্টেম থাকে। এর মানে হচ্ছে আপনার মোবাইলের গ্যালারিতে পাসওয়ার্ড কিংবা পিন ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

তবে কোনো কারণে যদি আপনার ডিভাইস নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু ছবি গুলো পুনরায় উদ্ধার করা অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে। তবে সাময়িক সময়ের জন্য এই পদ্ধতিটিও অনেক ভালো।

উপরে উল্লেখিত গুগল ফটো, গুগল ড্রাইভ ছাড়াও আরো অনেক সার্ভিস রয়েছে। এখানে আপনি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল লুকিয়ে রাখতে পারবেন।

আবার উন্নত মানের একটি পেনড্রাইভ কিংবা মেমোরি কার্ডেও আপনি ছবি, ভিডিও, গোপনীয় কোন ফাইল লক করে রাখতে পারবেন। পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড টি আপনাকে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। যাতে করে অন্য কারো হাতে সেটি না করে। এটি আবার কিছুটা অনিরাপদ। কারণ পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ডে যদি আপনি হারিয়ে ফেলেন কিংবা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো আপনি আর পাবেন না।

অন্যান্য সচেতনতা

যেভাবেই ব্যক্তিগত ছবি লুকিয়ে রাখেন না কেন একাউন্টের পাসওয়ার্ড, ইউজার আইডি ইত্যাদি ভালোভাবে সংরক্ষণ করবেন। মেমোরি বা পেন ড্রাইভ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সেটির অবশ্যই গুণগত মান নিশ্চিত করবেন যাতে দীর্ঘদিন ব্যবহারেও ড্যামেজ না হয়। যত্রতত্র অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো যাচাই-বাছাই না করে পার্সোনাল কোন ফাইল রাখবেন না।

বেশি বেশি টাকা সঞ্চয় করার উপায় কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।