পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে সেটি জানা অত্যন্ত জরুরী। আপনি দেশের বাইরে যে কারণেই ভ্রমণ করেন না কেন তার জন্য পাসপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন। সকল প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকলে আপনি খুব সহজেই আবেদন করে এটি পেতে পারেন।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

আপনি চাকরি, বিজনেস, ভ্রমণ, চিকিৎসা সেবা গ্রহণ, শিক্ষা যে উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যেতে না চান না কেন পাসপোর্ট করার জন্য নিম্নোক্ত কাগজপত্র গুলি অবশ্যই প্রয়োজন হবে।

• অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদনের প্রিন্ট কপি।
• পাসপোর্টের আবেদনের সামারি কপি অবশ্যই (কালার প্রিন্ট)
• পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদানের স্লিপ
• জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অথবা অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন সনদ। (অনলাইনের জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই ইংরেজি ভার্সনে হতে হবে)
• পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
• ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, বা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সনদপত্র।
• পেশাগত সনদপত্র
• পূর্বে যদি কোন পাসপোর্ট থাকে তাহলে সেটির মূল কপি অথবা ফটোকপি।

উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলি অবশ্যই প্রয়োজন হবে পাসপোর্ট করার জন্য। পাসপোর্টের পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারি মেয়াদের উপর নির্ভর করে এর ফি ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নিম্নেশ্বর সম্পর্কে উল্লেখ করা হলো।

৫ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট

৪৮ পৃষ্ঠা আর ৫ বছর মেয়াদে পাসপোর্টের সাধারণ ডেলিভারির জন্য খরচ হবে ৪ হাজার ২৫ টাকা। জরুরীভাবে নিতে চাইলে ৭ দিনের মধ্যে ৬ হাজান ৩২৫ টাকা এবং ২ দিনের মধ্যে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা খরচ হবে।

৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পৃষ্ঠা পাসপোর্টের সাধারণ ডেলিভারিতে খরচ হবে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। জরুরি ভাবে নিতে চাইলে আরো কিছু বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। এক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য ৮ হাজার ৬২৫ টাকা এবং ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ডেলিভারি নিতে চাইলে ১২ হাজার ৭৫ টাকা ফি জমা প্রদান করতে হবে।

১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করার জন্য নির্ধারিত ফি

সাধারণ ডেলিভারিতে ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট করতে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা এবং ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট করতে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আপনি যদি ১ সপ্তাহ কিংবা ২ দিনের মধ্যেও পাসপোর্ট নিতে চান তাহলে খরচ হবে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা থেকে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত।

পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে

আশা করি পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা ফি প্রদান করতে হবে সেটা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা হয়েছে। মূলত বর্তমানে সকল ধরনের পাসপোর্টের আবেদন অনলাইনে অর্থাৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যায়। আপনি পাসপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই অ্যাপ্লিকেশনটি সাবমিট করতে হবে।

তবে যারা সরকারি চাকরি করছেন তাদের জন্য অবশ্যই NOC বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা প্রদান করতে হবে।

পাসপোর্ট করার সময় সচেতনতা

বিদেশ ভ্রমণের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। অনলাইনে ফরম পূরণের সময় ব্যক্তিগত তথ্য গুরি সতর্কতার সহিত এবং বারবার রিভিশন দিয়ে নেওয়া উচিত। কোন নামের বানান ভুল কিংবা তথ্য ভুল হলে পরবর্তীতে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে দক্ষ কোন ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারেন।