ডিসেম্বর মাসের জন্য এলপিজি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত
- আপডেট সময় : 10:11:59 am, Wednesday, 4 December 2024 27 বার পড়া হয়েছে
গ্রাহক পর্যায়ে পেট্রোলিয়াম বা এলপিজি গ্যাসের দাম ডিসেম্বর মাসের জন্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ১ হাজার ৪৫৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।
তথ্যগুলো জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। তিনি একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ডিসেম্বর মাসের জন্য সিলিন্ডার গ্যাসের দামের তথ্য গুলি ঘোষণা করেন।
ডিসেম্বর মাসের জন্য এলপিজি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত
গত নভেম্বর মাসেও ১ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম রাখা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকায়। চলতেই মাসেও গ্রাহকরা একই তরে কিনতে পারবেন এলপিজি। মূলত ডলারের বিনিময় হার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় গ্যাসের দামও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মূলত প্রতি মাসে গ্রাহক পর্যায়ে এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়।
তবে গত মাসে ১২ কেজির এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমেছিল মাত্র ১ টাকা। এমনকি অক্টোবর মাসে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৩৫ টাকা। এর আগেও বিগত কয়েক মাসে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল এলপিজির গ্যাস।
বাংলাদেশের বাসা বাড়িতে এবং বিভিন্ন দোকানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় ১২ কেজির সিলিন্ডার গ্যাস। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় রান্নার কাজে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সরকার কর্তৃক প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডারের দামের পার্থক্য রয়েছে বেশি। বাসা বাড়ি এবং বিভিন্ন ধরনের দোকানের পাশাপাশি গার্মেন্টস, সিরামিক, টেক্সটাইল ইত্যাদি খাতর প্রচুর পরিমাণে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলপি গ্যাস নিয়মিত সরবরাহ করা হয়। ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে এই ধরনের গ্যাস সরবরাহ করে মূলত বাল্ক এলপিজি সলুশন। এমনকি অন্য ধরনের যানবাহন চলাচলেও এই গ্যাসের ব্যবহার রয়েছে।
বাসা বাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের সতর্কতা
শহরের পাশাপাশি মফস্বল এবং গ্রাম এলাকাতেও এই গ্যাস ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। এমনকি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন কোন মাধ্যমে দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। তাই এই ধরনের সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত।
এমনকি যারা বাসা বাড়িতে কিংবা ফ্ল্যাটে এটা ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে তো প্রতিদিনই এর যন্ত্রাংশ গুলি যাচাই করা প্রয়োজন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর কিংবা যে রুমে রাখা হয়েছে সেটির সকল দরজা জানালা খুলে দেওয়া প্রয়োজন। যদি কোন কারণে গ্যাসের লিখেজ হয়ে থাকে তাহলে বাইরে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এবং গ্যাসের চুলা জালালে কোন দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকবে না।
এছাড়াও সিলিন্ডার গ্যাসকে উপর করে রাখার কাজ করে রাখা ইত্যাদি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত চুলার সাথে গ্যাসের সংযোগ ঠিকঠাক আছে কিনা কিংবা কোন জায়গা থেকে গ্যাসে লিখে চলছে কিনা সেগুলো যাচাই করুন।
এই ধরনের পদার্থ সাধারণত গরম আবহাওয়া কিংবা অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে দূরে রাখতে হয়। তাই চুলা এবং সিলিন্ডারের মাঝে বেশ কিছু জায়গায় গ্যাপ রাখুন। এমনকি এ সকল জিনিসপত্রের আশেপাশে ধূমপান করা থেকেও বিরত থাকুন।
এমনকি যারা এই ধরনের সিলিন্ডার গুলি ডিস্ট্রিবিউট করে থাকে নিয়মিত সবকিছু পরীক্ষা করে নিতে পারেন। তাছাড়া গ্যাসের চুলা সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ গুলো অনুমোদিত ডিলারের কাজ থেকে সবসময় ক্রয় করা উচিত।
অন্যান্য সচেতনতা
এলপিজি সিলিন্ডার সব সময় খাড়া ভাবে দাঁড় করে রাখতে হয়। সেই সাথে আশেপাশের কোন কিছুর সাথে যাতে ধাক্কা না লাগে সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে। আর সবচাইতে ভালো হয় চুলার সমতল থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি উপরে রাখতে। এতে করে চুলায় গ্যাসের সরবারহ ভালোভাবে হয়। তাছাড়া নিয়মিত এর মেয়াদ পরীক্ষা করুন।
যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কিংবা দুর্ঘটনা মোকাবেলায় বাসায় সব সময় নিরাপত্তা মূলক যন্ত্র রাখা উচিত। যেমন গ্যাস ডিটেক্টর, কম্বলের মতো মোটা কাপড়, কিংবা আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এতে করে আপনার পরিবার থাকবে নিরাপদ। আশা করি ডিসেম্বর মাসে ১২ কেজির এলপিজি গ্যাসের দাম জানার পাশাপাশি আপনাদের এটির ব্যবহারের সচেতনতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।