সুপার টাইফুন কং রে ২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় বেগে ধেয়ে আসছে তাইওয়ানের দিকে। মাইলের হিসেবে এর বেগ প্রতি ঘন্টায় ১৫০ মাইল। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এটি যখন ভূপৃষ্ঠে আঘাত করবে তখন এর দ্বারা তৈরি ঢেউ প্রায় ৮ মিটার উঁচু হতে পারে। মোটামুটি একটি দ্বীপকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার মত সক্ষম এটি।

সুপার টাইফুন কং রে নিয়ে ইতিমধ্যে ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি পূর্ব এশিয়ার তাইওয়ান দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে আঘাত আনতে পারে এটি।

২৪০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে সুপার টাইফুন কং রে (typhoon kong rey)

যার কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে তাইওয়ানের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও প্রদান করা হয়েছে। প্রাকৃতিক এই ঝড়ের (typhoon kong rey) পরবর্তী সময়ে সাহায্য এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতিমধ্য ৩৬ হাজার সেনা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর প্রদান করা তথ্য অনুসারে, সুপার টাইফুন কং রে এর ফলে তৈরি ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা উঠতে পারে। যা কিনা বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার ভূমিধসের কারণ হবে। ইতিমধ্যেও তাইওয়ানের বিভিন্ন দ্বীপের পেশাগত এবং শিক্ষাগত কার্যক্রম গুলি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সব ধরনের ফেরি চলাচল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে বছরের শেষ সময়ে এত শক্তিশালী ঝড় হওয়া বেশ অস্বাভাবিক বলে মত প্রকাশ করেছে আবহাওয়া গবেষকরা। এর ফলে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যার সম্ভাবনাও রয়েছে।

সাধারণ টাইফুন এবং সুপার টাইফুন কং রে এর মধ্যে পার্থক্য কি

এদের মধ্যেও মূল পার্থক্য হচ্ছে বাতাসের গতিবেগ। সাধারণভাবে একটি টাইফুনের বাতাসের গতিবেগ থাকে প্রতি ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। মাইলের হিসেবে যেটি ৭৪ মাইল প্রতি ঘন্টা।

কিন্তু একটি সুপার টাইফুন আরো বেশি শক্তিশালী হয়। এর গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ থেকে ২৪০ কিলোমিটার পর্যন্তও হতে পারে। অনেক সময় এর বেশিও হয়। যার কারণে এটি অনেক বেশি বিপদজনক। এর ফলে সৃষ্টি হয় প্রচুর বৃষ্টিপাত, উঁচু উঁচু ঢেউ এবং জলোচ্ছ্বাস। মানুষের বসবাসের এলাকা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য যেটি বিপদ বয়ে আনতে পারে।

অর্থাৎ টাইফুন এবং সুপার টাইফুনের মধ্যে মূল পার্থক্য হচ্ছে বাতাসের গতিবেগ।

কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে (typhoon kong rey) প্রতিকার করা সম্ভব নয়। কারণ এটি প্রকৃতি থেকে এসে থাকে। কিন্তু আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে অনেকটাই এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে পারি। বাংলাদেশেও মাঝে মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের জনজীবনে বেশ দুর্ভোগ নেমে আসে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে নিয়মিত অবগত থেকে আমরা সচেতনতা গড়ে তুলতে পারি। আজ বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের উক্ত এলাকায় সুপার টাইফুন কং রে আঘাত হানতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কি? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।