শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি প্রয়োজন হয়

- আপডেট সময় : 08:45:24 am, Monday, 2 December 2024 72 বার পড়া হয়েছে
যেকোনো বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন সনদ অবশ্যই ৫ বছর বয়সের মধ্য সম্পন্ন করা উচিত। তা না হলে সাধারণ কাগজপত্রের পাশাপাশি আরো কিছু বাড়তি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হতে পারে। আবার আমরা অনেকেই শিশু বাচ্চার জন্মগ্রহণ করার পর এদের টিকার কার্ড, হাসপাতালের কাগজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করি না। কিন্তু এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক অভিভাবকই আছেন যারা বাচ্চার বেশ বয়স সত্বেও জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করে না। যার কারণে ৫ বছরের পরে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করা বেশ ঝামেলা হয়ে যায়। তাই নিচের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আপনাদের যদি এই লিখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন।
বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি প্রয়োজন হয়
এটি নির্ভর করে মূলত শিশুর বয়সের উপর। নিম্নে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলির তালিকা উল্লেখ করা হলো।
১। হাসপাতালের কার্ড বা স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন পত্র অথবা ইপিআই কার্ড (টিকা কার্ড)
২। বাড়ির হোল্ডিং নম্বর এবং ট্যাক্সের রশিদ।
৩। শিশুর পিতা মাতার অভিভাবকের জন্ম নিবন্ধন এবং ভোটার আইডি কার্ডের কপি। জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন সংস্করণ চাওয়া হঢ।
অন্যান্য কাগজপত্র
যদি শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হয় তাহলে পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে ১ কপি।
শিশুর বয়স ৫ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
• ৫ বছরের বেশি হলে বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র। অবশ্যই বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল করতে স্বীকৃত ও সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার হতে হবে।
• সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার স্কুল সার্টিফিকেট। এটি নির্ভর করে কোন ক্লাসে লেখাপড়া করছে তার ওপর।
• অভিভাবক অর্থাৎ পিতামাতার জন্ম নিবন্ধনের কপি অবশ্যই ইংরেজি ভার্সনের হতে হবে।
• পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি
আর ঠিকানা প্রমাণের জন্য বাড়ির দলিল, খাজনা, কর পরিশোধের রশিদ ইত্যাদি জমা প্রদান করতে হতে পারে।
বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করবেন
জন্ম নিবন্ধন বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস। জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো এটি দ্বারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়। শিশুদের স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট, ব্যাংকিং কাজে, জমির দলিলে ইত্যাদি কাজে এই জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হয়। এমনকি শিক্ষা জীবনের সকল স্তরেই এই কাগজটি খুবই জরুরী।
তাই আপনার বাসার কোন শিশুর যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ করা না হয়ে থাকে তাহলে অতি দ্রুত সম্ভব সেটা সম্পন্ন করে ফেলুন।
সকল তথ্য এবং কাগজপত্র নিয়ে প্রথমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় অবশ্যই নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি বিষয় গুলি বারবার চেক করে নিবেন। এক্ষেত্রে কোন ভুল হলে পরবর্তীতে সংশোধন করার জন্য বাড়তি ঝামেলা হবে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। অনলাইন কপিটি প্রিন্ট করে কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অফিসে জমা প্রদান করতে হবে। পরবর্তী ধাপ গুলি তারাই সম্পন্ন করে দেবে এবং এ ব্যাপারে যাবতীয় নির্দেশনা দিয়ে দিবে।