কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে কুমিরের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল

Mohammad Raihan Uddin
  • আপডেট সময় : 04:24:47 am, Wednesday, 4 December 2024 21 বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে কুমির

সম্প্রতি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর একটি শাখা গড়াইতে একাধিক কুমির দেখা গিয়েছে। এমনকি সেখানে কুমির দেখতে ভীড় জমেছে আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ে জেলারা মাছ ধরতে একটু কমই নামছেন।

এদিকে বাংলাদেশ জীবের বৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশন কুষ্টিয়া শাখার পক্ষ থেকে কুমিরদের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল ও হাঁস মুরগি। তবে ছাড়া এই খাবারগুলো খাওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোন কুমির সেখানে যায়নি। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে আজকে সকাল থেকে বেশ কয়েকবার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কুমির মাথা উঁচু করে ছিল।

বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ গড়াই নদীর পাড়ে বসে আছেন কুমির দেখার জন্য। এই নদের এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে গড়াইয়ের ভাটাপাড়া এলাকা। শুকনো মৌসুম হয় সেখানে নদীর মাঝখানে চরও জেগেছে। চোরের মাঝে কোন এক জায়গায় সামান্য পরিমাণে পানি জমে আছে। আর সেই পানিতে মূলত কুমির দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেখানকার ১ জেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিগত ৩-৪ দিন ধরে সেখানে কুমিরের দেখা মিলছে। তাইতো ভয়ে মাছ ধরতে নামছেন না তিনি। যার কারণে বিকল্প পেশা হিসেবে বর্তমানে তিনি ঝাল মুড়ি বিক্রি কাজ করছে। তিনি আরো বলেন কুমিরের লেজের দিকটা বেশ চিকন এবং মাথা অনেক গরম। গায়ে রয়েছে কাঁটা কাঁটা। কিছুক্ষণ পর পর উঠে আর ডুব দেয় তাই ভয়ে মানুষ এখানে নামতে পারছে না।

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে কুমিরের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল

আরেক বাসিন্দার সাথে কথা বললে তিনিও জানান, গত শুক্রবার সকালের দিকে আমি সর্বপ্রথম এখানে কুমির দেখি। সেটি পানি হতে অর্ধেক শরীর বের করে শুয়েছিল। এমনকি মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে live ও করেছিলাম। এরপর আরো ২-৩ দিন সেখানে কুমিরের দেখা পেয়েছে।

বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলার সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন এখানে সেখানে ২ মুরগি নিয়ে যান। সারাদিন রাখার পরেও কমিয়ে সেগুলো খেতে আসেনি। এমনকি ১ মোটাতাজা ছাগলও কুমিরের খাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে তিনি রেখে আসেন। সেই সাথে আরো নিয়ে গিয়েছিলেন চারটি হাঁস। তিনি জানান কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর কুমিরের বিষয়টি ইতিমধ্যে বনবিভাগকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকা গুলো ছাড়া সাধারণত কুমিরের দেখা মেলেনা। যার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও বেশি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। মাহাবুদ্দিন আরও উল্লেখ করেন এখানে কুমির গুলো কোন ধরনের খাবার পাচ্ছে না। শুকনো মৌসুমী নদীর পানে শুকিয়ে যাওয়া হয়তো কোনভাবে সেগুলো এখানে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mohammad Raihan Uddin

Only Share Real News and Tip Tricks Blog

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে কুমিরের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল

আপডেট সময় : 04:24:47 am, Wednesday, 4 December 2024

সম্প্রতি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর একটি শাখা গড়াইতে একাধিক কুমির দেখা গিয়েছে। এমনকি সেখানে কুমির দেখতে ভীড় জমেছে আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা। ভয়ে জেলারা মাছ ধরতে একটু কমই নামছেন।

এদিকে বাংলাদেশ জীবের বৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশন কুষ্টিয়া শাখার পক্ষ থেকে কুমিরদের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল ও হাঁস মুরগি। তবে ছাড়া এই খাবারগুলো খাওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোন কুমির সেখানে যায়নি। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে আজকে সকাল থেকে বেশ কয়েকবার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কুমির মাথা উঁচু করে ছিল।

বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ গড়াই নদীর পাড়ে বসে আছেন কুমির দেখার জন্য। এই নদের এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে গড়াইয়ের ভাটাপাড়া এলাকা। শুকনো মৌসুম হয় সেখানে নদীর মাঝখানে চরও জেগেছে। চোরের মাঝে কোন এক জায়গায় সামান্য পরিমাণে পানি জমে আছে। আর সেই পানিতে মূলত কুমির দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেখানকার ১ জেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিগত ৩-৪ দিন ধরে সেখানে কুমিরের দেখা মিলছে। তাইতো ভয়ে মাছ ধরতে নামছেন না তিনি। যার কারণে বিকল্প পেশা হিসেবে বর্তমানে তিনি ঝাল মুড়ি বিক্রি কাজ করছে। তিনি আরো বলেন কুমিরের লেজের দিকটা বেশ চিকন এবং মাথা অনেক গরম। গায়ে রয়েছে কাঁটা কাঁটা। কিছুক্ষণ পর পর উঠে আর ডুব দেয় তাই ভয়ে মানুষ এখানে নামতে পারছে না।

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে কুমিরের খাবারের জন্য ছাড়া হয়েছে ছাগল

আরেক বাসিন্দার সাথে কথা বললে তিনিও জানান, গত শুক্রবার সকালের দিকে আমি সর্বপ্রথম এখানে কুমির দেখি। সেটি পানি হতে অর্ধেক শরীর বের করে শুয়েছিল। এমনকি মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে live ও করেছিলাম। এরপর আরো ২-৩ দিন সেখানে কুমিরের দেখা পেয়েছে।

বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলার সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন এখানে সেখানে ২ মুরগি নিয়ে যান। সারাদিন রাখার পরেও কমিয়ে সেগুলো খেতে আসেনি। এমনকি ১ মোটাতাজা ছাগলও কুমিরের খাওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে তিনি রেখে আসেন। সেই সাথে আরো নিয়ে গিয়েছিলেন চারটি হাঁস। তিনি জানান কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর কুমিরের বিষয়টি ইতিমধ্যে বনবিভাগকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক এলাকা গুলো ছাড়া সাধারণত কুমিরের দেখা মেলেনা। যার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও বেশি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। মাহাবুদ্দিন আরও উল্লেখ করেন এখানে কুমির গুলো কোন ধরনের খাবার পাচ্ছে না। শুকনো মৌসুমী নদীর পানে শুকিয়ে যাওয়া হয়তো কোনভাবে সেগুলো এখানে এসেছে।