কম খরচে দুবাই থেকে কয়েক দিন ঘুরে আসুন

- আপডেট সময় : 05:36:33 am, Thursday, 7 November 2024 69 বার পড়া হয়েছে
স্বপ্নের শহর দুবাইতে কম খরচে কিভাবে ঘুরতে যেতে পারেন সেই উপায় গুলি আপনাদেরকে আজকে জানাবো। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মধ্যপ্রাচ্যেে শহরটিতে অনেক বাংলাদেশী মানুষ কর্মরত আছেন। এমনকি প্রতিবছরই অসংখ্য মানুষ সেখানে ছুটি কাটাতেও গিয়ে থাকেন। ভ্রমন পিপাসু মানুষদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা গুলির মধ্য এটি একটি।
বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের দূরত্ব সর্বমোট ৫ হাজার ৫৪৩ কিলোমিটার। আমাদের সাথে দুবাইয়ের সময় পার্থক্য রয়েছে মাত্র ২ ঘন্টা। অর্থাৎ বাংলাদেশে যখন সকাল ১০টা বাজে তখন সেখানে সকাল ৮টা। সবকিছু মিলিয়ে দুবাই ভ্রমন কিছুটা ব্যয় বহুল হলেও সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে খরচ অনেকটাই কমাতে পারবেন। তাইতো আজকে কম খরচে দুবাই ভ্রমণের প্ল্যান নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে।
প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে ভিসা
দুবাই ভ্রমণের খরচ সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো প্রস্তুত করতে হবে। আপনি খুব সহজেই এই দেশের ভিসা পেতে পারেন। বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে ঝামেলাবিহীন ভাবে দুবাইয়ের ভিসা পেতে খরচ হতে পারে ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। এটির মাধ্যমে আপনি উক্ত দেশে একবার প্রবেশ করে সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত ছুটি কাটাতে পারবেন।
তবে আপনি যদি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কেউ নিয়ে যান তাহলে শিশুদের জন্য খরচ হবে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে ভিসার আবেদন করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে।
দুবাইয়ের ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়
শুধুমাত্র দুবাই নয় বরং যে কোন দেশে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু তথ্য এবং কাগজপত্র জমা প্রদান করতে হবে। নিম্নে সেগুলি উল্লেখ করা হলো:
• আপনার পাসপোর্টের তথ্যাবলী ও স্ক্যান কপি।
• আপনি যদি এর আগে কোন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে সেই ভিসার স্ক্যান কপি।
• নির্দিষ্ট সময় ভ্রমণ শেষে আপনি পুনরায় দেশে ফিরতে আসবেন সেটির সম্মতি পত্র।
• সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
• আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সেটির পরিচয় পত্র অথবা বিজনেস কার্ডের স্ক্যান কপি।
• যদি আপনি ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে কোম্পানির লেটারের একটি কপি জমা প্রদান করতে হবে।
• সরকারি চাকরিজীবী হলে অবশ্যই এনসিও এর কপি জমা দিতে হবে।
• শিক্ষার্থী হলে আইডি কার্ডের কপি।
বিবাহিতদের দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার জন্য স্বামী অথবা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অনেক সময় ম্যারেজ সার্টিফিকেটও চেয়ে থাকে।
কম খরচে দুবাই যেতে টিকিট করবেন কিভাবে
বাংলাদেশ সাথে বিমানে করে দুবাই যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। আপনি দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে টিকিট ক্রয় করতে পারেন। তবে উক্ত দেশের যাওয়া এবং ফেরত আসা এই দুই মিলিয়ে খরচ হতে পারে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
হোটেল ভাড়া ও বুকিং করতে কত টাকা খরচ হবে
পর্যটকদের জন্য দুবাইয়ের এলাকার সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়। আবার অনেক সময় ইমিগ্রেশনে হোটেল বুকিং এর তথ্যাবলী এবং কাগজ দেখতে চায়। যার কারণে আগে থেকেই বুকিং করে যাওয়া ভালো। সে ক্ষেত্রে ১ রাত থাকার জন্য খরচ করতে পারে ২০০ থেকে ৩০০ দিরহাম। আজকের রেট অনুযায়ী দুবাইয়ের ১ দিরহাম বাংলাদেশের প্রায় ৩০ টাকার সমান। সেই হিসেবে প্রতি রাতের জন্য খরচ করতে পারে ৬ – ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আর বাকি থাকল আপনার খাওয়া খরচ, ঘোরার খরচ এবং কেনাকাটার খরচ। আপনি যদি বাংলাদেশী খাবার খেতে চান তাহলে প্রতিবেলায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হতে পারে।। আর আপনার চাহিদার উপরে নির্ভর করে অন্যান্য ব্যয় বহন করতে হবে।
অন্যান্য সচেতনতা
আশা করি দুবাই ঘুরতে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে আপনাদের কিছু ধারণা হয়েছে। উপরে শুধুমাত্র আমি ভিসা, হোটেল বুকিং, খাওয়া এসম্পর্কিত খরচ গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে আপনি কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন এবং কি কি কেনাকাটা করবেন তার ওপরে নির্ভর করবে মোট বাজেট। তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে নিবেন।
বর্তমান সময়ে কোন ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক? জানতে এখানে প্রবেশ করুন।