শীতের মৌসুমে কাশি এবং গলা ব্যথা কমানোর জন্য কি করতে পারেন
- আপডেট সময় : 11:18:16 pm, Monday, 9 December 2024 16 বার পড়া হয়েছে
শীতের মৌসুমে মানুষের সবচাইতে যে বেশি সমস্যাটি হয়ে থেকে সেটি হচ্ছে সর্দি এবং কাশির সমস্যা। এছাড়াও শুকনো কাশির পাশাপাশি অনেকের গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তাই ঘন ঘন এই ধরনের সমস্যার পরার হাত থেকে মুক্তি পেতে কি ধরনের টিপস মেনে চলবেন চলুন সেগুলো জেনে নেই।
গলা ব্যথা কমানোর জন্য গোলমরিচ ও মধু
এক চা চামচ পরিমাণ মধুর সাথে কিছু পরিমাণে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে অল্প সময়ের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যায়। এমনকি গলা যদি কোন ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকে সেটিও দূর হয়ে যায়। গোলমরিচ ও মধুর মাধ্যমে আপনি গ্যাসের সমস্যাও দ্রুত কমাতে পারবেন।
গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করা
অতিরিক্ত ঠান্ডা যদি আপনার গলা ব্যথা শুরু হয় তাহলে গরম পানি দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ বার কুলি-কুচি করুন। এতে করে গলা ব্যাথা কমানোর পাশাপাশি বেশ আরাম অনুভব পাবেন। সেই সাথে কমে যাবে কাশির সমস্যা। আবার সর্দি সমস্যা থাকলেও তা থেকে রেহাই পেতে গরম পানি দিয়ে কুলিকুচি করুন।
গলা ব্যথা কমাতে আদার ব্যবহার
ঠান্ডা জনিত কিংবা গলায় যে কোন সমস্যায় আদার ব্যবহার চলে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা আমাদের দেহের যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য শুকনো আদা লবণ দিয়ে অথবা চায়ের সাথে খেতে পারেন। কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মধু এবং লেবুর রসের মিশ্রণ
এজন্য কিছু পরিমাণে মধুর সাথে অল্প পরিমাণে লেবু মিশিয়ে নিন। দিনের বেলায় অন্তত ৪ থেকে ৫ বার এটি পান করুন। যেকোনো ধরনের শুকনো কাশি কমানো এবং গলা বাঁধা দূর করতে মধু এবং লেবু উভয়ই খুবই কার্যকরী। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। যেটি আমাদের স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে।
দুধ ও হলুদের ব্যবহার
আমরা রূপচর্চায় দুধ এবং হলুদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শুকনো কাশি এবং সর্দি কমাতেও সহযোগিতা করে। এর জন্য আপনাকে গরম দুধের সাথে কিছু পরিমাণে হলুদ মিশ্রিত করে খেতে হবে। সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যাবে রাতের বেলা এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে।
শীতকালে কাশি এবং গলা ব্যথা কমানোর অন্যান্য উপায় কি
শীতের এই সময়টাতে চারিদিকে ঘন কুয়াশা এবং প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা বাতাস থাকে, তাই সচেতন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় নাক এবং মুখ দিয়ে যাতে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ না করে তার জন্য মাফলার কিংবা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আবার যারা এই সময়টাতে মোটরসাইকেল যাতায়াত করেন তাদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। বর্ষাকালের তুলনায় শীতকালে ধুলাবালি প্রকোপ বেশি থাকে। এ থেকেও আপনার এলার্জি বা এ ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। আর যদি বেশ কিছুদিন ভোগার পরেও গলা ব্যথার কোন ভাবে না কমে তাহলে তো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।