লেনদেন করার সময় নকল টাকা কিভাবে চিনবেন

Mohammad Raihan Uddin
  • আপডেট সময় : 09:52:32 am, Wednesday, 20 November 2024 36 বার পড়া হয়েছে

নকল টাকা কিভাবে চিনবেন

বিভিন্ন উৎসব কিংবা উপলক্ষকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। অনেকেই না চিনতে পেরে সেগুলো নিয়ে প্রতারিত হয়। নকল টাকা চেনার সঠিক পদ্ধতি না জানার থাকার কারণে আমরা মাঝে মাঝে নানা ধরনের ঝামেলার পরি। তাইতো আপনাদেরকে এই ধরনের ঝামেলা থেকে কিভাবে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন সে সম্পর্কে জেনে নেই।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জাল টাকার নোট চেনার উপায় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নকল টাকা চেনার উপায়

১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট যেহেতু অধিক মূল্য মানের তাই এগুলো বেশি জাল হয়ে থাকে। আপনি ভালোভাবে নোট গুলোই থাকা সুতা, রঙের পরিবর্তন, অসমতল অংশ, জলছাপ ইত্যাদি লক্ষ্য করলেই আসল নকল চিনতে পারবেন।

আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন এই ধরনের নোট গুলোতে সাধারণত সামনে এবং পেছনের দিকে কিছু অংশ খসখসে থাকে। এমনকি লেখা গুলো উঁচু-নিচু ভাবে মুদ্রণ করা থাকে।

বিশেষ করে ৩টি নোটেই বৃত্তাকার বেশ কয়েকটি করে ছাপ রয়েছে যেগুলোতে হাত দিলে উঁচু এবং নিচে অনুভব হয়। জাল টাকার নোটে এই ধরনে ডিজাইন করা সম্ভব নয়।

এমনকি মনোগ্রাম দেখেও চিনতে পারবেন টাকাটি আসল নাকি নকল। নকল নোট গুলোতে এই ধরনের সিল এবং মনোভাব গুলো দেখতে অনেকটাই অস্পষ্ট হয় এবং কোয়ালিটি খারাপ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের টাকা গুলোতে বাঘের মাথার যে জল ছাপ দেওয়া রয়েছে সেটি আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।

এমনকি প্রতিটি আসল নোটেই একটি করে নিরাপত্তা সুতা যুক্ত করা থাকে। এই সুতা গুলি অনেক মজবুত এবং টাকার সাথে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে। আপনি নোটটিকে যতই মুচড়িয়ে কিংবা হাত দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করুন না কেন এটি উঠানো সহজ কাজ নয়। কিন্তু নকল নোট গুলোতে এধরনের দৃঢ় সুতা যুক্ত করতে পারে না।

আবার ১৫০০ এবং ১০০ টাকার প্রত্যেকটি নোটের উপর ইংরেজি নাম্বারটির রং বিভিন্ন দিকে পরিবর্তিত হতে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি নাড়াচাড়া করে দেখার চেষ্টা করেন তাহলে সোনালী, সবুজ ইত্যাদি রং দেখতে পারবেন। এমনকি নোব পুরাতনই হোক না কেন এই রং বেশ চকচকেই থাকে। যেটি নকল অর্থে সংযোজন করা সম্ভব নয়।

জাল টাকা চেনার আরো কয়েকটি উপায় নিচে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো

• যেহেতু এগুলো বানিয়ে তাৎক্ষণিক বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করে তাই সবসময়ই নতুন হয়ে থাকে। কারণ জাল নোট গুলি পুরাতন হয়ে গেলে এতটাই নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় যে সেগুলি কোনভাবেই বাজারে ছাড়া সম্ভব না।

• আসল নোটগুলো সব সময় চকচকে এবং খসখসে থাকে। পুরাতন হলেও কাগজের মান খুবই উন্নত। একটু মনোযোগ সহকারে দেখলেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

• আপনি মানিব্যাকে বা পকেটে দীর্ঘদিন একটি নোট ভাজ করে রাখলেও সেটি ড্যামেজ হয় না। সোজা করে রাখলে আবার সেই ভাঁজটি ছেড়ে যায়। কিন্তু নকল টাকার নো্ কিছুক্ষণ ভাঁজ করে রাখলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমনকি ভাঁজ করলেও সহজে ভাঙ্গে না।

• আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে প্রকৃতির হয়। জাল নোট চেনার অন্যতম উপায় হচ্ছে এটি অত্যন্ত মসৃণ হয়ে থাকে।

• ব্যাংকং বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির মাধ্যমে আসল টাকা শনাক্ত করা যায়। আপনি যদি ব্যবসায়ী কিংবা এমন কোন কাজ করে থাকেন যেখানে প্রতিনিয়তই অর্থ লেনদেন করতে হয় তাহলে এই ধরনের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করতে পারেন।

তবে কম মূল্য মানে যে নোট গুলো রয়েছে যেমন ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা ইত্যাদি এই নোট গুলো জাল খুবই কম হয়। তবুও লেনদেনের সময় সতর্ক থাকা উচিত।

অন্যান্য সচেতনতা

যেকোনো দেশেরই আইন অনুযায়ী সেই দেশের নোট নকল কিংবা জাল করা অত্যন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে করে মানুষ যেভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠিক তেমনিভাবে অর্থনীতিতেও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। তাই জাল নোট চেনার উপায় গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এ ব্যাপারে সতর্ক করুন।

একজন সরকারি চাকরিজীবির বেতন কত এবং কি সুবিধা পেয়ে থাকেন? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Mohammad Raihan Uddin

Only Share Real News and Tip Tricks Blog

লেনদেন করার সময় নকল টাকা কিভাবে চিনবেন

আপডেট সময় : 09:52:32 am, Wednesday, 20 November 2024

বিভিন্ন উৎসব কিংবা উপলক্ষকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা জাল টাকার নোট বাজারে ছাড়ে। অনেকেই না চিনতে পেরে সেগুলো নিয়ে প্রতারিত হয়। নকল টাকা চেনার সঠিক পদ্ধতি না জানার থাকার কারণে আমরা মাঝে মাঝে নানা ধরনের ঝামেলার পরি। তাইতো আপনাদেরকে এই ধরনের ঝামেলা থেকে কিভাবে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন সে সম্পর্কে জেনে নেই।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে জাল টাকার নোট চেনার উপায় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নকল টাকা চেনার উপায়

১০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট যেহেতু অধিক মূল্য মানের তাই এগুলো বেশি জাল হয়ে থাকে। আপনি ভালোভাবে নোট গুলোই থাকা সুতা, রঙের পরিবর্তন, অসমতল অংশ, জলছাপ ইত্যাদি লক্ষ্য করলেই আসল নকল চিনতে পারবেন।

আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন এই ধরনের নোট গুলোতে সাধারণত সামনে এবং পেছনের দিকে কিছু অংশ খসখসে থাকে। এমনকি লেখা গুলো উঁচু-নিচু ভাবে মুদ্রণ করা থাকে।

বিশেষ করে ৩টি নোটেই বৃত্তাকার বেশ কয়েকটি করে ছাপ রয়েছে যেগুলোতে হাত দিলে উঁচু এবং নিচে অনুভব হয়। জাল টাকার নোটে এই ধরনে ডিজাইন করা সম্ভব নয়।

এমনকি মনোগ্রাম দেখেও চিনতে পারবেন টাকাটি আসল নাকি নকল। নকল নোট গুলোতে এই ধরনের সিল এবং মনোভাব গুলো দেখতে অনেকটাই অস্পষ্ট হয় এবং কোয়ালিটি খারাপ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের টাকা গুলোতে বাঘের মাথার যে জল ছাপ দেওয়া রয়েছে সেটি আলোর বিপরীতে ধরলে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।

এমনকি প্রতিটি আসল নোটেই একটি করে নিরাপত্তা সুতা যুক্ত করা থাকে। এই সুতা গুলি অনেক মজবুত এবং টাকার সাথে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে। আপনি নোটটিকে যতই মুচড়িয়ে কিংবা হাত দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করুন না কেন এটি উঠানো সহজ কাজ নয়। কিন্তু নকল নোট গুলোতে এধরনের দৃঢ় সুতা যুক্ত করতে পারে না।

আবার ১৫০০ এবং ১০০ টাকার প্রত্যেকটি নোটের উপর ইংরেজি নাম্বারটির রং বিভিন্ন দিকে পরিবর্তিত হতে থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি নাড়াচাড়া করে দেখার চেষ্টা করেন তাহলে সোনালী, সবুজ ইত্যাদি রং দেখতে পারবেন। এমনকি নোব পুরাতনই হোক না কেন এই রং বেশ চকচকেই থাকে। যেটি নকল অর্থে সংযোজন করা সম্ভব নয়।

জাল টাকা চেনার আরো কয়েকটি উপায় নিচে আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো

• যেহেতু এগুলো বানিয়ে তাৎক্ষণিক বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করে তাই সবসময়ই নতুন হয়ে থাকে। কারণ জাল নোট গুলি পুরাতন হয়ে গেলে এতটাই নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় যে সেগুলি কোনভাবেই বাজারে ছাড়া সম্ভব না।

• আসল নোটগুলো সব সময় চকচকে এবং খসখসে থাকে। পুরাতন হলেও কাগজের মান খুবই উন্নত। একটু মনোযোগ সহকারে দেখলেই আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

• আপনি মানিব্যাকে বা পকেটে দীর্ঘদিন একটি নোট ভাজ করে রাখলেও সেটি ড্যামেজ হয় না। সোজা করে রাখলে আবার সেই ভাঁজটি ছেড়ে যায়। কিন্তু নকল টাকার নো্ কিছুক্ষণ ভাঁজ করে রাখলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমনকি ভাঁজ করলেও সহজে ভাঙ্গে না।

• আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে প্রকৃতির হয়। জাল নোট চেনার অন্যতম উপায় হচ্ছে এটি অত্যন্ত মসৃণ হয়ে থাকে।

• ব্যাংকং বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির মাধ্যমে আসল টাকা শনাক্ত করা যায়। আপনি যদি ব্যবসায়ী কিংবা এমন কোন কাজ করে থাকেন যেখানে প্রতিনিয়তই অর্থ লেনদেন করতে হয় তাহলে এই ধরনের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি ব্যবহার করতে পারেন।

তবে কম মূল্য মানে যে নোট গুলো রয়েছে যেমন ২ টাকা, ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা ইত্যাদি এই নোট গুলো জাল খুবই কম হয়। তবুও লেনদেনের সময় সতর্ক থাকা উচিত।

অন্যান্য সচেতনতা

যেকোনো দেশেরই আইন অনুযায়ী সেই দেশের নোট নকল কিংবা জাল করা অত্যন্ত দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে করে মানুষ যেভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠিক তেমনিভাবে অর্থনীতিতেও দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। তাই জাল নোট চেনার উপায় গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এ ব্যাপারে সতর্ক করুন।

একজন সরকারি চাকরিজীবির বেতন কত এবং কি সুবিধা পেয়ে থাকেন? বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।