বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক বাইক
- আপডেট সময় : 04:57:22 am, Sunday, 1 December 2024 24 বার পড়া হয়েছে
রিভল্ট এবং ওলা সহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল কে এবার পেছনে ফেলতে পারে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক বাইক। শুধু তাই নয় বাজারে আসছে সিএনজি বাইকও। বাংলাদেশে ইতিমধ্য বিশ্ব সেরা এই কোম্পানির মোটরসাইকেল অফিসিয়াল শোরুমের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সারা পৃথিবী জুড়েই বাইক প্রেমীদের জন্য এক আবেগের নাম হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড। শতাব্দী ধরে মোটরসাইকেল বাজারে সফলতার সহিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এবার সেই রয়্যাল এনফিল্ড কোম্পানি বাজারে আনছে ইলেকট্রিক বাইক। যদিও বাজারে ছাড়ার আগে এর টিজার প্রকাশিত হয়েছে যেটিতে রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে দাবী করা হচ্ছে এটি ইলেকট্রিক বাইক।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় তেলের ট্যাংকের জায়গায় থাকতে পারে স্টোরেজ স্পেস অর্থাৎ ব্যাটারী বা পাওয়ার। যে কোন মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটির রেঞ্জ। ধারনা করা হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক বাইক একবার চার্জে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে। তবে বাজারে আসতে আসতে ২০২৬ সালও লাগতে পারে। অর্থাৎ ২০২৫ সালেও এটি বাজারে আসবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ডের চারটি মডেল বিক্রি শুরু হয়েছে। গ্রাহকরা রীতিমতো লাইনের দাড়িয়ে এগুলোর বুকিং দিয়েছেন।
বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক কার
রয়্যাল এনফিল্ড বাংলাদেশের বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইফাত মোটরস লিমিটেড। এমনকি বাইক গুলোর দামও গ্রাহকদের হাতের নাগালে। দাম নিয়ে খুবই খুশি বাইক প্রেমীরা। বাংলাদেশে লঞ্চ হওয়া রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক মডেলের দাম শুরু হবে ৪ লাখ ৫ হাজার টাকার থেকে।
সারা পৃথিবী জুড়ে সবচাইতে বেশি ব্যবহার করা হয় তেল চালিত গাড়ি। সুবিধার পাশাপাশি এই ধরনের তেল চালিত ইঞ্জিনে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিবেশ দূষণ ও শব্দ দূষণ। বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়েই বিদ্যুৎ চালিত প্রাইভেটকার কিংবা চার চাকার গাড়ি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ এতে নেই তেমন শব্দ দূষণ, উৎপন্ন হয় না কালো ধোয়া। তবে আবার এর কিছু অসুবিধা রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে চার্জিং স্টেশন না থাকায় রাস্তায় মাঝেমাঝেই বিরম্বনার পরতে হতে পারে।
তবে এ সকল গাড়িতে যে ব্যাটারি ব্যাকআপ সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাতে অনেক দূর পর্যন্ত চলাচল করা যায়। এমনকি বিভিন্ন দেশ জোরে চার্জিং পয়েন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কম শব্দ উৎপন্ন হওয়ায় রাস্তাঘাটে চলে আশেপাশের কেউ তেমন টেরই পায় না যে পাশ দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে। তাই অনেকেই আবার মডিফাইং সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে।
তবে স্কুটি ছাড়া ইলেকট্রিক বাইক বাজারে জনপ্রিয় লাভ করেছে। দেখা যাবে ভবিষ্যতের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে পারি কিনা। ২০২৬ সাল নাগাদ আসতে পারে রয়্যাল এনফিল্ডের ইলেকট্রিক বাইক।