সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটকদের জন্য নতুন নির্দেশনা
- আপডেট সময় : 06:44:57 am, Friday, 22 November 2024 31 বার পড়া হয়েছে
সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে এ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনাও চলছিল। নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি চাইলেই বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে লাগবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত একটি ট্রাভেল পাস। সেই সাথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন গামী পয়েন্ট থেকে জাহাজ ছাড়ার বিষয়েও দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। নির্দেশনা গুলি প্রদান করেন বাংলাদেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সফটওয়্যার থেকে ট্রাভেল পাসধারী ভ্রমণকারীদের অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ব্যবহার করা যাবে না কোনো বলেছেন কিংবা প্লাস্টিকের ব্যাগ। ইতিমধ্যে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগের উপর বিধি নিষেধ আরোপ এবং বিভিন্ন বাজারে অভিযান প্রক্রিয়ায় অব্যাহত রয়েছে।
সেই সাথে একজন ভ্রমণকারী কোন হোটেলে অবস্থান করবেন সেগুলোর লিপিবদ্ধকরণ ও রেজিস্টারও সংরক্ষণ করার বিষয় বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে কক্সবাজার পরিবেশ পরিদপ্তরের অফিস। এছাড়াও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর মাসে কেউ এই প্রবাল দ্বীপে ভ্রমণ করতে গেলে দিনের বেলায় ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ সেখানে রাতের বেলা থাকতে পারবেন না।
সেন্টমার্টিন যেতে পর্যটকদের জন্য নতুন নির্দেশনা
পর্যটকরা ডিসেম্বর এবং জানুয়ারী মাসে এ সেন্টমার্টিনে রাতের বেলা থাকতে পারবেন। একদিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দ্বীপের পরিবেশ নষ্ট করে শব্দ দূষণ করা যাবে না রাতের বেলা অতিরিক্ত আলোচনা যাবেনা এমনকি বারবিকিউ পার্টি ও করায় নিষেধ করা হয়েছে।
পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় একটি দ্বীপ হচ্ছে সেন্টমার্টিন। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক আসে এখানে ভ্রমণ করতেন। কারণ সেন্টমার্টিনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কারো মন মুহুর্তের মধ্যে ভালো করে যেতে সক্ষম। চারিদিকে সমুদ্রের পানি, বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ, দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ ইত্যাদি ভ্রমণকারীদের নিকট খুবই আকর্ষণীয়।
বাংলাদেশের মানুষদের নিকট এটি কি নারিকেল জিন্জিরা কিংবা দারুচিনি দ্বীপ নামেও পরিচিত। ইতিমধ্যে এই দ্বীপ কে কেন্দ্র করে দারুচিনি দ্বীপ নামে একটি সিনেমা তৈরি হয়েছে। দর্শকদের মনে যেটি বেশ সারা জাগিয়েছিল। যেটা তৈরি করা হয়েছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্য হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে। ছোট এই প্রকল্পটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর পূর্বে অবস্থিত। এটার আয়তন মাত্র ৮ বর্গ কিলোমিটার।
সর্বপ্রথম কবে এই দ্বীপটি মানুষ শনাক্ত করেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে কিছু আরব বণিক সর্বপ্রথম এটির নাম রেখেছিল জিন্জিরা। দ্বীপটিতে রয়েছে বেশ নারিকেল গাছ। যার কারণে স্থানীয় আদিবামীরর এটিকে নারিকেল জিঞ্জির নামে অভিহিত করে থাকেন।
গ্রামীণ ব্যাংকে দুইটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো। বিস্তারিত জানতে এখানে প্রবেশ করুন।