মন আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করবেন কিভাবে

Mohammad Raihan Uddin
  • আপডেট সময় : 10:19:02 am, Tuesday, 3 December 2024 36 বার পড়া হয়েছে

তওবা করার নিয়ম

আমরা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ছোট, বড় বিভিন্ন ধরনের গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আবার গুনাহ হওয়ার পর যদি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে ফিরে আসে তাহলে তিনি সেগুলো নিশ্চয়ই মাফ করে দেন।

এ ব্যাপারে একটি আয়াতের বর্ণিত আছে যে, মন আল্লাহ তায়ালা বলেন “হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের উপরে জুলুম করেছো, তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে কখনো নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় মহান আল্লাহ তায়ালা সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তিনি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু। এটি উল্লেখিত রয়েছে সূরা জুমার ৫৩ নাম্বার আয়াতে।

যখন কোন একজন মুসলিম বান্দা শয়তানের ধোকায় পড়ে গুনাহ করে ফেলে তখন তার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে সেটি ব্যাপারে তওবা করা। তবা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে প্রত্যাবর্তন করা। যার মানে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ফেরত আশা।

এ ব্যাপারে আরও একটি হাদিস রয়েছে। বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে,

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যদি পাপ কাজ করো, এমন কি তোমাদের পাপের সীমা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তারপর তোমরা তওবা করতে তাহলে এমন আল্লাহ তায়ালা সেটি অবশ্যই কবুল করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ৪২৪৮)

আল্লাহতালার কাছে তওবা করার নিয়ম কি

শুধুমাত্র তওবা করলেই হবে না বরং যে সকল গুনাহ আমরা করেছি তার জন্য অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতে সেই গুনাহ এবং পাপকার্যে লিপ্ত না হওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। আবার এইতো আবার উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।

এই নামাজটি অন্যান্য নামাজের মতই। শুধুমাত্র তওবার নিয়তে নামাজটি পড়তে হবে। আপনি বাংলায় এভাবে নিয়ত করতে পারেন যে হে আল্লাহ আমি তওবার দুই রাকাত নামাজ আদায় করছি আপনি আমার নামাজ কবুল করুন। এরপর অন্যান্য অন্য নফল নামাজের মতই এটি নেওয়া হবে আলাদা কোন নিয়ম নেই। এমনকি নামাজ শেষ করে মন আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে অনুতপ্ত এবং অতীত সকল পাপের কাজকর্মের কথা স্মরণ করে ক্ষমা চাইতে হবে।

তবে ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যদি অন্য কোন বান্দার হক নষ্ট করা হয় কিংবা কোন মানুষের সাথে অন্যায় করা হয় তাহলে তার কাছে আগে মাফ চেয়ে নিতে হবে। ধরুন আপনি কোন শ্রমিকের ১০০ টাকা হক নষ্ট করেছেন তাহলে তার কাছে আগে মাফ চেয়ে নিতে হবে। অথবা তার হক আদায় করতে হবে। তা না হলে এই ধরনের গুনাহের তওবা কবুল হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মন আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করবেন কিভাবে

আপডেট সময় : 10:19:02 am, Tuesday, 3 December 2024

আমরা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ছোট, বড় বিভিন্ন ধরনের গুনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ে। আবার গুনাহ হওয়ার পর যদি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করে ফিরে আসে তাহলে তিনি সেগুলো নিশ্চয়ই মাফ করে দেন।

এ ব্যাপারে একটি আয়াতের বর্ণিত আছে যে, মন আল্লাহ তায়ালা বলেন “হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের উপরে জুলুম করেছো, তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে কখনো নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় মহান আল্লাহ তায়ালা সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তিনি ক্ষমাশীল এবং পরম দয়ালু। এটি উল্লেখিত রয়েছে সূরা জুমার ৫৩ নাম্বার আয়াতে।

যখন কোন একজন মুসলিম বান্দা শয়তানের ধোকায় পড়ে গুনাহ করে ফেলে তখন তার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে সেটি ব্যাপারে তওবা করা। তবা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে প্রত্যাবর্তন করা। যার মানে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ফেরত আশা।

এ ব্যাপারে আরও একটি হাদিস রয়েছে। বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে,

আমাদের প্রিয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যদি পাপ কাজ করো, এমন কি তোমাদের পাপের সীমা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তারপর তোমরা তওবা করতে তাহলে এমন আল্লাহ তায়ালা সেটি অবশ্যই কবুল করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ৪২৪৮)

আল্লাহতালার কাছে তওবা করার নিয়ম কি

শুধুমাত্র তওবা করলেই হবে না বরং যে সকল গুনাহ আমরা করেছি তার জন্য অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতে সেই গুনাহ এবং পাপকার্যে লিপ্ত না হওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। আবার এইতো আবার উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নামাজ পড়া উত্তম।

এই নামাজটি অন্যান্য নামাজের মতই। শুধুমাত্র তওবার নিয়তে নামাজটি পড়তে হবে। আপনি বাংলায় এভাবে নিয়ত করতে পারেন যে হে আল্লাহ আমি তওবার দুই রাকাত নামাজ আদায় করছি আপনি আমার নামাজ কবুল করুন। এরপর অন্যান্য অন্য নফল নামাজের মতই এটি নেওয়া হবে আলাদা কোন নিয়ম নেই। এমনকি নামাজ শেষ করে মন আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে অনুতপ্ত এবং অতীত সকল পাপের কাজকর্মের কথা স্মরণ করে ক্ষমা চাইতে হবে।

তবে ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যদি অন্য কোন বান্দার হক নষ্ট করা হয় কিংবা কোন মানুষের সাথে অন্যায় করা হয় তাহলে তার কাছে আগে মাফ চেয়ে নিতে হবে। ধরুন আপনি কোন শ্রমিকের ১০০ টাকা হক নষ্ট করেছেন তাহলে তার কাছে আগে মাফ চেয়ে নিতে হবে। অথবা তার হক আদায় করতে হবে। তা না হলে এই ধরনের গুনাহের তওবা কবুল হয় না।