শীতের দিনে গরম পানি দিয়ে গোসল করা কতটা স্বাস্থ্যকর

- আপডেট সময় : 05:05:50 am, Thursday, 28 November 2024 34 বার পড়া হয়েছে
ইতিমধ্যে চারিদিকে শীতের কুয়াশা পড়ে গিয়েছে। আর এই মৌসুমের সবচাইতে কঠিন কাজটি হচ্ছে গোসল করা। অনেকে আবার শীতের দিনে গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন। কিন্তু স্বাস্থের জন্য এই গরম পানির ব্যবহার কতটা ভালো সে সম্পর্কে কি জানেন?
এই মৌসুমে দুপুরে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে এছাড়া সকাল এবং বিকেলের দিকে অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে। যেখানে কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন সেখানে গোসল করা বিশাল সফলতার বিষয়। তাই যত সম্ভব চেষ্টা করা উচিত দুপুরের আগেই গোসলের কাজটাই সেরে নেওয়া।
শীতের দিনে গরম পানি দিয়ে গোসল করার কতটা স্বাস্থ্যকর
আপনি যদি অনেক বেশি গরম পানি শরীরের ঢালেন তাহলে আমাদের ত্বকে থাকা সেবাম গুলি নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ আমাদের স্কিনের সাথে যে প্রাকৃতিকভাবে তেলটা থাকে সেটি নষ্ট হয়ে ত্বক হয়ে উঠে আরও বেশি শুষ্ক এবং স্পর্শকাতর। আপনারা জানেন শীতকালীন মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এমনিতে কম থাকে। যার কারণে আমাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়।
শীতের দিনে অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে গোসল করার কারণে সেবাব নষ্ট হয়ে স্কিনে জন্য মারাত্মক সমস্যার তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে ফাংগাল ইনফেকশন বেড়ে যায়। এটি সাধারণত চুলের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যা থেকে দেখা দিতে পারে খুশকি এবং নানা ধরনের সমস্যা। এমনকি নিয়মিত এভাবে গরম পানি মাথায় ব্যবহার করলে চুল নিস্তেজ এবং নির্জীব হয়ে যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে শীতের দিনে তাহলে কিভাবে ঠান্ডা পানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। আপনি পানি পুরোপুরি গরম না করে হালকা কিংবা কুসুম কুসুম গরম করতে পারে। যারা কিনা চুলায় পানি গরম করেন তারা এক পাতিল পানি বালতির ঠান্ডা পানির সাথে মিশ্রিত করে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারেন।
কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোসলের উপকারিতা
আমি আগেই উল্লেখ করেছি অতিরিক্ত গরম নয় বরং হালকা কিংবা কুসুম কুসুম তাপমাত্রার পানি শরীরের জন্য কিছু উপকার বয়ে আনতে পারেন। যেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।
• সামান্য তাপমাত্রার পানিতে এক গোসল করলে ওজন কমে। এটি আমাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
• যাদের ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে আসে তাদের জন্য এই ধরনের পানিতে গোসল সেরে নেওয়া বেশ উপকারী। তাই যাদের নাকের বন্ধের সমস্যা হয়েছে তারা নিয়মিত এই উপায়টি অনুসরণ করতে পারেন।
• নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যথার কমাতে সাহায্য করেও এই হালকা গরম পানি।
• হট বাথ নিলে আমাদের দেহ থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিক পদার্থ বেরিয়ে যায়। যার কারণে অকালে বার্ধক্য বাসা বাঁধতে পারে না এবং অনেকদিন পর্যন্ত চেহারায় তারুন্য ধরে রাখা যায়।
• গরম পানি আমাদের শরীরের ত্বক পরিষ্কার করে তাই বোনের ঝামেলা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
• ঠান্ডা পানি কিংবা কম তাপমাত্রায় আমাদের শরীরের রক্ত চলাচলের পরিমাণ কমে যায় তাই মাথায় ব্যথা এবং মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। এ সময় উষ্ণ পানিতে গোসল সেরে নিলে সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
তবে অতিরিক্ত গরম পানি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আপনি যদি এই মৌসুমে সকাল সকাল গোসল করতে পারেন তাহলে ঠান্ডা কিছুটা কম অনুভূত হবে। দুপুর কিংবা তারপরে যত বেশি দেরি করবেন শীতের পরিমাণও ততই পারতে থাকবে। আবার যাদের ঠান্ডা জনিত কিংবা সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য তো কিছুটা গরম পানি ব্যবহার করতেই হবে। তা না হলে ঠান্ডা থেকে শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।